First
পহেলা বৈশাখের দিন হিজাব আর শাড়ির সাথে রোলারস্কেট পরে রাজপথ দিয়ে স্কেটিং করছে একটি মেয়ে – বাংলাদেশে দৃশ্যটি মোটেও সাধারন নয়। তাই সে বছর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকেও ছাপা হয়েছিলো শাড়ি পড়ে স্কেটিং করার ছবিটি। ছবির মেয়েটা আমার পরিচিত। তার নাম মিনান আরা। মিনান আপুর সাথে আমার পরিচয় স্কাউটিং এর মাধ্যমে। আপু বাংলাদেশ জাতীয় রোলিং ও স্কেটিং টিমের সদস্য হয়ে অংশ নিয়েছেন অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, কাজ করেছেন টিম ম্যানেজমেন্ট এর অংশ হয়ে। স্কেটার হওয়া ছিলো তার ছোটবেলার স্বপ্ন। এখন সে স্কেটিং এর কারনে চষে বেড়াচ্ছে পুরো দুনিয়া।
আপুর কাছ থেকে শিখেছি জীবনে কিছু করতে হলে মানুষ কী ভাববে সে বিষয়ে চিন্তা করা যাবেনা। কে কী বললো তা না ভেবে নিজের লক্ষ্যের পথে এগিয়ে যেতে হবে। কাজে যদি ভালোবাসা থাকে তবে সাফল্য আসতে বাধ্য। আপুর কাছে থেকে পাওয়া শিক্ষা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।
টেলিভিশনে বিভিন্ন কুকিং শো দেখে আমার মনে ইচ্ছে জাগে শেফ হওয়ার। কিন্তু এদেশে বাবা-মায়েরা সাধারণত চায় তাদের ছেলে-মেয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। তাই আমার ইচ্ছার কথা আমার মাকে জানাতে চেয়েও পারিনি অনেক দিন। আপুর থেকে পাওয়া ইন্সপাইরেশনে অবশেষে তা জানাতে পারি। আমার বাবা-মা ও আমার ইচ্ছায় সায় দেন। সামনের বছর কলেজ শেষ করে দেশের বাইরে রান্না পড়তে যাবো। আপু ইন্সপায়ার না করলে আমার সারা জীবনের ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যেত।
- By Ahmed Shamil
Second
Title: The survival of an Iron-woman.
She lost her father at the age of nine. At eighteen, she was raped by the son of village Chairman and threatened by different means to keep it secret. After 4 months, when she was pregnant, people ignored and forced her to leave the village, blaming her as a prostitute.
Finding no other way, she went to Dhaka and stayed at a station. Few months later, she gave birth to a stillborn baby.
Despite facing lots of obstacles she never lost her hope and joined a garment factory. After 15-years of continuous struggle, she saved some money and came back to her village and established a small cottage industry.
A Few years later she increased it and created job opportunity for helpless women and worked to empower the women of that village.
The iron-woman whom I am talking about is Halima Begum, living in Joypurhat, who has inspired me the most by her intolerable struggle.
Her struggle inspires me to face every challenge with courage. She makes me believe that life is not a one-way road. We should keep trying until we get success.
- By Md. Rokunul Islam
Third
People in Bangladesh do not pay taxes. Exaggeration, yes, but few would argue that our collection rate of 0.5% isn’t a problem. However, a certain class of people pay substantially more taxes than anyone else in Bangladesh: women. The amount of social tax we charge women is mind-boggling. How does one quantify the tax paid by the girl who gets eve-teased on her way to school, or the maid who is harassed by her male employer, or the professional who is deemed ‘bossy’ for trying to take initiative in the workplace? I never met the woman who inspires me the most, but I do know her story. At the age of 13, she was gang-raped by 30 men. She was then violated a second time through a public-shaming campaign on Facebook. Yet, today, she continues to live her life. She still smiles at times, albeit with great difficulty. She earns her own bread as a teacher. She is brave, and to me, nothing is more inspiring than the ability to fight back when life gets this rough.
My hope is that one day, we will be as worried about this form of tax as the other, less important one.
- By Sakib Jamal
Third (Joint)
আমার জীবনে সবচেয়ে অনুপ্রেরণাদায়ী নারী
প্রতিটি মানুষের জীবনেই অনুপ্রেরণাদায়ী কোন না কোন নারীর ভূমিকা থাকে। কারো এই অনুপ্রেরণাদায়ী নারী হলেন মা, কারো বোন, কারো শিক্ষিকা আবার কারো বা হলেন স্ত্রী। আমার জীবনেও এমন একজন নারী আছে যে আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে। আর সেই নারী হলো আমার ”নারী সত্তা”। আমিই আমার জীবনে সেই অনুপ্রেরণাদায়ী নারীর ভূমিকা পালন করে আসছি। অবশ্য আমার মা, বোন, নারীকুলের অনেকেরই প্রভাব আমার জীবনে রয়েছে তবে অনুপ্রেরণার জায়গাটা প্রথমেই আসে নিজের কাছ থেকে। আমার নিজের স্বপ্ন, ইচ্ছা এবং সাহস আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। আমি একজন শিক্ষার্থী এবং পাশাপাশি একজন প্রশিক্ষক। তাছাড়া বিভিন্ন সমাজ উন্নয়নমূলক কাজের সাথেও জড়িত। এসকল কাজের প্রেক্ষিতে আমাকে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হয় এবং কখনো বা একাই যেতে হয়। এই বর্তমান সমাজ একা একটি নারীর পক্ষে চলাফেরার জন্য ততোটা নিরাপদ নয়। আবার দেশের কোন কোন অঞ্চলে তা অসমীচীনও। কিন্তু আমি তখন নিজেকে বোঝাই, সাহস জোগাই হাল না ছাড়ার। মাঝে মাঝে যখন হাল ছেড়ে দেই, ভয় পাই তখনই আমার ভেতরের নারী সত্তা আমাকে জাগিয়ে তোলে এবং পূর্বে অর্জিত ছোট ছোট কৃতিত্বগুলো সামনে তুলে ধরে বোঝায় “তুমি পূর্বে পেরেছিলে, এখনও পারবে।” আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে যা অর্জিত তা আমার নারী সত্তার অনুপ্রেরণাতেই অর্জিত। আমার নারী সত্তাই আমাকে ভালো মানুষ হওয়ার, ভালো কাজের অনুপ্রেরণা জোগায়।
- By Syeda Tahsina Hridita
Special Mention
"আমার পথচলার অনুপ্রেরণা যিনি"
২০০৫ সাল।আমার বয়স তখন ৭ বছর। একেবারেই পড়ালেখা করতে চাইতাম না আমি।বাবা জোর করে ভর্তি করিয়ে দিলেন ব্র্যাক স্কুলে।প্রথম কিছুদিন খুব খারাপ লাগতো।তবে কিছুদিন পর,স্কুলের আপার সান্নিধ্যে এসে পড়ালেখার উপর ভালো লাগা শুরু হলো।খুব মজা করে পড়াতেন উনি।কখন যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার হয়ে যেত,টের পেতাম না।
৫ম শ্রেণিতে উনি আমাদের ভালো রেজাল্টের আশায় সর্বোচ্চ সময় দিতেন।নিজের খাওয়া, ঘুম, গোসল সব ত্যাগ করে আমাদের পড়াতেন-দৈনিক ১৫-১৬ ঘণ্টা।সবসময় বলতেন,"তোমরা পারবেই পারবে।"নিজের সন্তান ছিল না বলে আমরাই ছিলাম উনার সন্তান।
যেই আমি পড়তেই চাইতাম না,সেই আমিই আপার অনুপ্রেরণায় ৫ম শ্রেণিতে বৃত্তি পাই,এমনকি ২০ টি শাখা স্কুলের মধ্যে ১ম হই।শুরু হলো নতুন করে ভালোলাগা।আপা চাকরি থেকে অবসর নিলেন,তারপরও আমাকে সাহস আর অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।তিনি আমার প্রিয় শিক্ষিকা,রোকসানা আপা। আজ আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের অর্থনীতি বিভাগের একজন গর্বিত ছাত্র।আমার এ সাফল্যে আমার বাবা মার পরে উনিই সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছেন।উনার অনুপ্রেরণা আমাকে অনেক বড় হওয়ার আশা জাগায়।দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছেটাও তাঁর কাছ থেকে ধার করা।
- By Shamim Bin Shaheb
Special Mention
" দুই জনে এক সাথা হেঁটে যাইতাম স্কুল, কত স্বপ্ন বুনতাম দুইজনে,
আমাকে ৫০ পইসার একটা অভালটিন চকলেট কিনা দিয়ে হাতে হাত রেখে দুই জনে হেঁটে যেতাম স্কুল এর.
স্কুল ছুটি হলে যাইতাম কোন মার্কেট এ, কিছু কিনব না জানি,
তার পরো এক সাথে ঘুরতে এত ভাল লাগতও
মনে হয় স্বর্গে আসি দুই জনে,
মাঝে মাঝে আমায় বলত তুই বড় হয়ে আমাই এটা কিনে দিস,
সত্যি দিবি তো ???
আমি চোক মিটি করে মুশকি হেসে বলতাম কেন দিব না অবশ্যই দিব,
তুমি ছাড়া আমার কে আসে ???
আমার স্বপ্নের পুরাটা আকাশ জুরে তুমি আসো !
বড় হয়ে বড় একটা চাকরি করব, তোমার জন্য মেলা কিছু কিনা দিব,
আচ্ছা এখনি লিস্ট করে রাখ কি কি লাগবে????????
মাথাই হাত বুলিয়ে চুল গুলো কে এলো মেলো করে দিয়ে বলত চল এখন যাই,
মিষ্টির দোকান এর সামনের দিয়ে যাবার সময় বলতো-
" তুই বড় একটা চাকরি পাবি যেদিন, সেই দিন পতি টা মিষ্টি এক টা এক টা করে তুই কিনে খয়াইবি আমারে ??
আমি বড় হয়ে তোমার জন্য মিষ্টির দোকান দিমু আমি সত্যি কইতাছি,
'(এখনও আমার পতিটা দিন শুরু হয় তোমায় ভেবে,
অনেক অনেক অনেক ভালোবাসি মামনি তোমায়, "
- By Tahsan Mahmud